অভিমত: বাজেট যৌক্তিক ও বাস্তবোচিত
“এবারের বাজেটের বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে রাজস্বনীতি, মুদ্রানীতি ও বাজারভিত্তিক সুদের হারের মধ্যে একটি সমন্বয় করা হয়েছে। নীতির মধ্যে সমন্বয় করার পদক্ষেপ আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। এটি কঠিন কাজ।তবে এবারের বাজেটে সাহস করে সেটি করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার কর্মসূচি যাতে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে যায়, বাজেটে সেই চেষ্টাও হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির তালিকা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসবে।এবারের বাজেটে সেটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্ন ট্রেড ট্যাক্স বা বাণিজ্য শুল্ক আমরা অব্যাহত রাখতে পারব না।
অভ্যন্তরীণ শিল্পকে এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে।আবার যেসব স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কম, এবারের বাজেটে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। কৃষির মতো বেসিক পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আমদানির শুল্কহার একবারে কমানো হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যাতে বাড়ে, সে জন্য আরও বেশি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। সারের ভর্তুকি রাখা হয়েছে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে সরবরাহ বাড়িয়ে।এবারের বাজেটকে কৃষি উৎপাদনমুখী করার চেষ্টা আছে...
অভিমত: বাজেট যৌক্তিক ও বাস্তবোচিত